চুলচেরা চুলের সাজ
নানা আয়োজনে চলছে ঈদের প্রস্তুতি। সময় ও পোশাকের সঙ্গে মিলিয়ে চুলের সাজটাও ভেবে রাখতে পারেন। ঈদে চুলের সাজ কেমন হতে পারে, হাল ফ্যাশনে চুলের কেমন ধরন চলছে।
সকালের স্নিগ্ধতায়
সকালের সাজে সতেজ ভাব রাখুন। গোসলের পর ব্লো ড্রাই করে নিতে পারেন। যেকোনো বয়সের নারী এ সময়টাতে চুল ছেড়ে রাখলে ভালো দেখাবে। তবে গরমের কারণে বেঁধেও রাখতে পারেন।
দুপুরের আয়োজনে
দুপুরের সময়টাতে স্বস্তি থাকা চাই। এই সময়টাতে চুল বেঁধে রাখাই ভালো। চুল বাঁধার বিভিন্ন স্টাইল কাজে লাগানো যায়। ঝুঁটি করতে পারেন, আবার চাইলে টুইস্ট করে বাঁধতে পারেন। টুইস্ট করার ধরনে ভিন্নতা আনলে একটু অন্য রকম দেখাবে। ফ্রেঞ্চ বেণিও মানানসই। মায়েরা এ সময়টায় হাতখোঁপা করে ঘাড়ের ওপর আলতোভাবে খোঁপাটা রাখতে পছন্দ করেন।
দুপুরের সময়টাতে স্বস্তি থাকা চাই। এই সময়টাতে চুল বেঁধে রাখাই ভালো। চুল বাঁধার বিভিন্ন স্টাইল কাজে লাগানো যায়। ঝুঁটি করতে পারেন, আবার চাইলে টুইস্ট করে বাঁধতে পারেন। টুইস্ট করার ধরনে ভিন্নতা আনলে একটু অন্য রকম দেখাবে। ফ্রেঞ্চ বেণিও মানানসই। মায়েরা এ সময়টায় হাতখোঁপা করে ঘাড়ের ওপর আলতোভাবে খোঁপাটা রাখতে পছন্দ করেন।
রাতের সাজ
রাতের সাজে একটু জমকালো ভাব আনতে চুল কোঁকড়া করে ছেড়ে রাখা যায়। এ ক্ষেত্রে কোঁকড়া করার ধরনে ভিন্নতা আনতে পারেন। একটু বিশেষভাবে খোঁপা বা বেণিও করতে পারেন।
রাতের সাজে একটু জমকালো ভাব আনতে চুল কোঁকড়া করে ছেড়ে রাখা যায়। এ ক্ষেত্রে কোঁকড়া করার ধরনে ভিন্নতা আনতে পারেন। একটু বিশেষভাবে খোঁপা বা বেণিও করতে পারেন।
চুল কাটাতে ও রং করাতে
হাল ফ্যাশনে চলছে একটু ছোট করে চুল কাটার রীতি। চলতি ধারার সঙ্গে মানানসই করে চুল কাটাতে পারেন। চুলে রং করার বিষয়টি ব্যক্তিত্বের ওপর নির্ভর করে। কেউ চুলে বিভিন্ন রঙের মিশেল আনতে পছন্দ করেন কিংবা ‘গ্লোবাল কালার’-এ নিজেকে মানিয়ে নিতে পছন্দ করেন। রঙের সঙ্গে স্বচ্ছন্দ হতে পারলে তবেই রং করানোর সিদ্ধান্ত নিন।
হাল ফ্যাশনে চলছে একটু ছোট করে চুল কাটার রীতি। চলতি ধারার সঙ্গে মানানসই করে চুল কাটাতে পারেন। চুলে রং করার বিষয়টি ব্যক্তিত্বের ওপর নির্ভর করে। কেউ চুলে বিভিন্ন রঙের মিশেল আনতে পছন্দ করেন কিংবা ‘গ্লোবাল কালার’-এ নিজেকে মানিয়ে নিতে পছন্দ করেন। রঙের সঙ্গে স্বচ্ছন্দ হতে পারলে তবেই রং করানোর সিদ্ধান্ত নিন।
যত্ন চাই চুলের
চুলের স্টাইল যেমনই হোক, যত্ন নিতে হবে অবশ্যই। জেনে নিন চুলের যত্নে বিশেষজ্ঞ পরামর্শ—
* ভিটামিন, মিনারেলসহ প্রয়োজনীয় সব পুষ্টি উপাদান রাখুন রোজকার খাদ্যতালিকায়। পর্যাপ্ত পানি পান করুন। ভাজাপোড়া খাবার এড়িয়ে চলুন।
* চুলের যত্নে তেল মালিশ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তেল মালিশ না করলে চুলের আগা ফেটে যাওয়া ও চুল পড়ে যাওয়ার মতো সমস্যা বাড়ে। যাঁরা চুল আয়রন বা ব্লো-ড্রাই করান, তাঁরা নিয়মিত তেল মালিশ না করালে চুলের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা বেড়ে যায়।
* তেল মালিশের পর আমলা ও টক দইয়ের প্যাক লাগিয়ে ২০ মিনিট পর চুল পরিষ্কার করে ফেলুন। চুল পড়ার সমস্যা কমবে।
* সঠিক নিয়মে শ্যাম্পু না করার কারণে অনেকের চুল ক্ষতিগ্রস্ত হয়। শ্যাম্পু করার জন্য প্রথমে একটি পাত্রে শ্যাম্পুর সঙ্গে পানি মিশিয়ে নিন। এর ফলে শ্যাম্পু কোমল হবে। এবার মাথা ভিজিয়ে এই শ্যাম্পু-পানির মিশ্রণ চুলের আগা থেকে গোড়ার দিকে লাগাতে থাকুন। এরপর ভালোভাবে মালিশ করে করে চুল ধুয়ে ফেলুন। একই প্রক্রিয়ায় দুবার শ্যাম্পু করুন। প্রতিবারই ভালোভাবে শ্যাম্পু ধুয়ে ফেলতে হবে; বিশেষ করে শেষবার এমনভাবে শ্যাম্পু করুন, যেন চুল ধোয়া পানিতে কোনো ফেনা বা বুদ্বুদ না থাকে।
* কন্ডিশনার ব্যবহারের ক্ষেত্রেও প্রথমে কন্ডিশনারের সঙ্গে পানি মিশিয়ে নিতে হবে। আলতোভাবে কন্ডিশনার ব্যবহারের পর পানি দিয়ে আস্তে আস্তে চুল ধুয়ে নিন। এ ক্ষেত্রেও চুল ধোয়া পানিতে কোনো বুদ্বুদ থাকা চলবে না। চুল থেকে শ্যাম্পু-কন্ডিশনার ধুয়ে ফেলতে প্রতিবারই যথেষ্ট সময় দিতে হবে, নইলে এগুলো চুলে রয়ে যাবে। এর ফলে ধীরে ধীরে চুলের ক্ষতি হতে থাকে।
আফরোজা পারভীন জানালেন, কিছু অংশে গাঢ় রং আর কিছু অংশের জন্য হালকা রং বেছে নিতে পারেন। অন্যভাবে চাইলে চুলের গোড়ার দিকটা গাঢ় রং আর আগার দিকটা হালকা রং করাতে পারেন।
মিউনি’স ব্রাইডালের রূপবিশেষজ্ঞ তানজিমা শারমিন বলেন, ‘বয়স, ব্যক্তিত্ব, চুল ও ত্বকের ধরন অনুযায়ী চুলের রং বেছে নেওয়া উচিত। স্কুল বা কলেজে পড়ুয়াদের শখ মেটানোর জন্য দু-একটা স্ট্রিকস দেওয়া যেতে পারে, কিন্তু তাদের এমনিতেই সুন্দর দেখায়। খুব বেশি রং তাদের চুলে মানানসই নয়। চুল রং করানোর পরে এ বিষয়ে যত্নশীল থাকাও প্রয়োজন।’
চুলের রঙের বিষয়ে আরও পরামর্শ—
ত্বক একটু উজ্জ্বল রঙের হলে চুলের জন্য উজ্জ্বল রং বেছে নিন। ধূসর-বাদামি কিংবা বাদামি রঙের বিভিন্ন শেড থেকে বেছে নিতে পারেন। ত্বক একটু শ্যামলা হলে গাঢ় রং বেছে নেওয়া ভালো। লালচে রং, মেরুন-বাদামি, তামাটে রং, বার্গেন্ডি বা চিনামন রং এ ক্ষেত্রে ভালো দেখাবে। তবে কোনো ধরনের ত্বকের জন্যই লাল-সবুজ বা এ ধরনের রঙের ট্রেন্ড নেই এখন।
* মাঝবয়সীদের জন্য ওমব্রে মানানসই। ওপর থেকে নিচের দিকে গাঢ় থেকে হালকা কিংবা হালকা থেকে গাঢ় শেড ব্যবহার করা হয়।
চুলের স্টাইল যেমনই হোক, যত্ন নিতে হবে অবশ্যই। জেনে নিন চুলের যত্নে বিশেষজ্ঞ পরামর্শ—
* ভিটামিন, মিনারেলসহ প্রয়োজনীয় সব পুষ্টি উপাদান রাখুন রোজকার খাদ্যতালিকায়। পর্যাপ্ত পানি পান করুন। ভাজাপোড়া খাবার এড়িয়ে চলুন।
* চুলের যত্নে তেল মালিশ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তেল মালিশ না করলে চুলের আগা ফেটে যাওয়া ও চুল পড়ে যাওয়ার মতো সমস্যা বাড়ে। যাঁরা চুল আয়রন বা ব্লো-ড্রাই করান, তাঁরা নিয়মিত তেল মালিশ না করালে চুলের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা বেড়ে যায়।
* তেল মালিশের পর আমলা ও টক দইয়ের প্যাক লাগিয়ে ২০ মিনিট পর চুল পরিষ্কার করে ফেলুন। চুল পড়ার সমস্যা কমবে।
* সঠিক নিয়মে শ্যাম্পু না করার কারণে অনেকের চুল ক্ষতিগ্রস্ত হয়। শ্যাম্পু করার জন্য প্রথমে একটি পাত্রে শ্যাম্পুর সঙ্গে পানি মিশিয়ে নিন। এর ফলে শ্যাম্পু কোমল হবে। এবার মাথা ভিজিয়ে এই শ্যাম্পু-পানির মিশ্রণ চুলের আগা থেকে গোড়ার দিকে লাগাতে থাকুন। এরপর ভালোভাবে মালিশ করে করে চুল ধুয়ে ফেলুন। একই প্রক্রিয়ায় দুবার শ্যাম্পু করুন। প্রতিবারই ভালোভাবে শ্যাম্পু ধুয়ে ফেলতে হবে; বিশেষ করে শেষবার এমনভাবে শ্যাম্পু করুন, যেন চুল ধোয়া পানিতে কোনো ফেনা বা বুদ্বুদ না থাকে।
* কন্ডিশনার ব্যবহারের ক্ষেত্রেও প্রথমে কন্ডিশনারের সঙ্গে পানি মিশিয়ে নিতে হবে। আলতোভাবে কন্ডিশনার ব্যবহারের পর পানি দিয়ে আস্তে আস্তে চুল ধুয়ে নিন। এ ক্ষেত্রেও চুল ধোয়া পানিতে কোনো বুদ্বুদ থাকা চলবে না। চুল থেকে শ্যাম্পু-কন্ডিশনার ধুয়ে ফেলতে প্রতিবারই যথেষ্ট সময় দিতে হবে, নইলে এগুলো চুলে রয়ে যাবে। এর ফলে ধীরে ধীরে চুলের ক্ষতি হতে থাকে।
আফরোজা পারভীন জানালেন, কিছু অংশে গাঢ় রং আর কিছু অংশের জন্য হালকা রং বেছে নিতে পারেন। অন্যভাবে চাইলে চুলের গোড়ার দিকটা গাঢ় রং আর আগার দিকটা হালকা রং করাতে পারেন।
মিউনি’স ব্রাইডালের রূপবিশেষজ্ঞ তানজিমা শারমিন বলেন, ‘বয়স, ব্যক্তিত্ব, চুল ও ত্বকের ধরন অনুযায়ী চুলের রং বেছে নেওয়া উচিত। স্কুল বা কলেজে পড়ুয়াদের শখ মেটানোর জন্য দু-একটা স্ট্রিকস দেওয়া যেতে পারে, কিন্তু তাদের এমনিতেই সুন্দর দেখায়। খুব বেশি রং তাদের চুলে মানানসই নয়। চুল রং করানোর পরে এ বিষয়ে যত্নশীল থাকাও প্রয়োজন।’
চুলের রঙের বিষয়ে আরও পরামর্শ—
ত্বক একটু উজ্জ্বল রঙের হলে চুলের জন্য উজ্জ্বল রং বেছে নিন। ধূসর-বাদামি কিংবা বাদামি রঙের বিভিন্ন শেড থেকে বেছে নিতে পারেন। ত্বক একটু শ্যামলা হলে গাঢ় রং বেছে নেওয়া ভালো। লালচে রং, মেরুন-বাদামি, তামাটে রং, বার্গেন্ডি বা চিনামন রং এ ক্ষেত্রে ভালো দেখাবে। তবে কোনো ধরনের ত্বকের জন্যই লাল-সবুজ বা এ ধরনের রঙের ট্রেন্ড নেই এখন।
* মাঝবয়সীদের জন্য ওমব্রে মানানসই। ওপর থেকে নিচের দিকে গাঢ় থেকে হালকা কিংবা হালকা থেকে গাঢ় শেড ব্যবহার করা হয়।
* চুল সোজা হলে ডিপ ডাই বেছে নিতে পারেন। চুলের প্রাকৃতিক রঙের মাঝে কৃত্রিম রংটাকে আলাদাভাবে বোঝা যায়। চাইলে দু-তিনটি রং বেছে নিয়েও ডিপ ডাই করাতে পারেন, এতে প্রতিটি রংই আলাদাভাবে বোঝা যাবে। বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়াদের জন্য ডিপ ডাই বেশ মানানসই।
* প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য সম্পূর্ণ চুলে হাইলাইট করালেও ভালো দেখাবে। পুরো চুলে শেড ব্যবহারের রীতি আগেও যেমন ছিল, এখনো তেমনি আছে ফ্যাশনের ধারায়। ধরা যাক, সম্পূর্ণ কালো চুলকে তামাটে করা হলো। এখন বেছে বেছে কিছু স্ট্রিকস সোনালি হাইলাইট করা হলো। এ ধরনের রং চলতি ফ্যাশনে বেশ মানায়।
আরও জানতে...
No comments