Header Ads

ভোলায় ৭ টি গ্রাম প্লাবিত গভীর নিম্নচাপ এর কারনে ..

ভোলায় ১৪ টি গ্রাম প্লাবিত গভীর নিম্নচাপ এর কারনে .. 
নিম্নচাপের প্রভাবে গত ২ দিন ধরে দ্বীপজেলা ভোলার উপর দিয়ে থেমে থেমে ঝড়ো বাতাস ও বৃষ্টি হচ্ছে। জেলার নিম্নাঅঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে কয়েক ফুট উচ্চ জোয়ারের পানিতে তলিয়ে গেছে। এদিকে তজুমদ্দিন উপজেলায় অতিজোয়ারের পানিতে বেড়ি বাঁধ ভেঙ্গে ৭ গ্রাম ও মনপুরায় ভাঙ্গা বেড়ি বাঁধ দিয়ে অস্বাভাবিক জোয়ারের পানিতে ১৪ গ্রামে প্লাবিত হয়েছে। এতে অন্তত ৪৫ হাজার মানুষ পানি বন্ধি হয়ে পড়েছে।
স্থানীয়রা জানান, চাঁদপুর ইউনিয়নের চৌমোহনী এলাকায় রবিবার রাতে বেড়ি বাঁধ ভেঙ্গে ৭ গ্রাম প্লাবিত হয়। এতে করে বালিয়া কান্দি,দেওয়ানপুর, ঘোষের হাওলা,দক্ষিন শিবপুর,ইন্দ্র নারায়নপুর, চাপড়ি,দালাল কান্ধি গ্রামের অন্তত ১৫ হাজার লোক জোয়ার ভাটার পানিতে পানিবন্ধি হয়ে পড়েছে। পানিবন্ধি পরিবার গুলোর মানুষ এখন রোজার সময় চরম দুর্ভোগে দিন কাটাচ্ছে। অন্যদিকে ভাঙ্গা বেড়ীবাঁধ দিয়ে অস্বাভাবিক জোয়ারে ভোলার মনপুরা উপজেলার ৭ গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এতে পানিবন্দি হয়ে রমজানে দুর্ভোগ পড়েছে উপজেলার মনপুরা ও হাজিরহাট ইউনিয়নের অন্তত ৩০ হাজার মানুষ। এছাড়াও প্রায় ৫ শতাধিক পুকুর ও ঘেরের মাছ জোয়ারের পানিতে ভেসে গেছে।
হাজিরহাট ইউপি চেয়ারম্যান দিপক চৌধুরী সাংবাদিকদের জানান, ইউনিয়নের বেশিভাগ এলাকা জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হয়েছে। মানুষের দুর্ভোগের শেষ নেই।
উপজেলা চেয়ারম্যান শেলিনা আকতার চৌধুরী সাংবাদিকদের জানান, উপজেলার মনপুরা ও হাজিরহাট ইউনিয়নের বেশিরভাগ এলাকা জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হয়েছে। দ্রুত ভাঙ্গা বেড়ীবাঁধ নির্মানের জন্য পাউবোর কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের ডিভিশন-২ এর উপ-সহকারি প্রকৌশলী আবুল কালাম সাংবাদিকদের বলেন, বর্ষায় ভাঙ্গা বেড়ীবাঁধের কাজ করতে সমস্যা হচ্ছে। তারপরও মেশিনের মাধ্যমে দ্রুত কাজ করার জন্য ঠিকাদারদের বলা হয়েছে।
ভোলা আবহাওয়া অধিদপ্তরের উচ্চ পর্যবেক্ষক আনোয়ার হোসেন জানান, গত ২৪ গণ্টায় জেলায় ৪৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রের্কড কারা হয়েছে। এই নিন্ম চাপটি ভোলার উপকূলীয় এলাকায় অবস্থান করা হয়েছে।

অপর দিকে ভোলা-লক্ষ্মীপুর রুটের ইলিশা ফেরিঘাট পানিতে তলিয়ে গেছে। ধ্বসে গেছে ঘাটের অনেকাংশ। পানিতে ডুবে থাকায় ফেরি ও সিট্রাকের যাত্রীরা প্লটুনে উঠা নামা করতে গিয়ে বিপাকে পড়তে হচ্ছে। নৌকা দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে তাদের চলাচল করছে। জোয়ারের সময় দুর্ভোগ আরো ভয়াবহ হচ্ছে। ঈদের আগেই পানি উন্নয়ন বোর্ড ও বিআইডব্লিউটিএ ওই ঘাট জরুরীভাবে সংস্কার না হলে অনির্দিষ্টকালের জন্য ফেরি চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ার আশংকার কথা জানান ফেরির দায়িত্বে থাকা বিআইডব্লিউটিসি’র ভোলা-লক্ষীপুর ফেরি সার্ভিসের ম্যানেজার মোঃ আবু আলম।
আরো বিস্তারিত......

No comments

Powered by Blogger.